ভালো ল্যাপটপ চেনার সহজ ৭টি উপায়

ভালো ল্যাপটপ চেনার সহজ ৭টি উপায়

আমি যখন প্রথম ল্যাপটপ কিনি তখন আমার ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় সম্পর্কে কোনো  ধারণাই ছিল না ।এজন্য ল্যাপটপ কেনার পর বেশ আফসোসই হয়েছিল। আপনিও যদি আমার মত প্রথমবার ল্যাপটপ  কেনার প্ল্যান করে থাকেন এবং আমার মত ভুল না করতে চান তবে আজকের ব্লগটি আপনার জন্য। 
একটি ভালো ল্যাপটপ কেনা আগে ভালো করে গবেষণা করে নেয়া জরুরী। যখনই আপনি একটি ভালো ল্যাপটপ কেনার সিদ্ধান্ত নিবেন তখনই আপনার বাজেটের মধ্যে প্রয়োজন এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ল্যাপটপগুলো তুলনা করা উচিত। যেই ল্যাপটপে আপনার বাজেটের উপর কনফিগারেশন বেশি ভালো থাকবে সেই ল্যাপটপটি আপনি বেছে নিবেন।


তাছাড়া ল্যাপটপ কেনার পূর্বে আমি আপনাকে নিজে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য করতে বলেছি সেগুলো খেয়াল রাখবেন৷ এতে আপনি অবশ্যই একটি ভাল ল্যাপটপ খুব সহজেই নিজের জন্য বেছে নিতে পারবেন।

তবে আপনার বাজেট আর প্রয়োজন যাই হোক না কেন ফাস্ট ও ভালো মানের ডিসপ্লেটাকে ল্যাপটপ বাছাই করতে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এখন আমরা জেনে নেই একটি ভালো ল্যাপটপ কেনার পূর্বে কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত।

১. প্রসেসর

প্রসেসর

প্রসেসর বা সিপিইউ হলো ল্যাপটপের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার, যা ল্যাপটপের কার্যকারিতা এবং পারফরমেন্সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ল্যাপটপ কেনার সময় প্রসেসর নির্বাচন নিয়ে অনেক ক্রেতারই বিভ্রান্তি থাকে। বাজারে দুইটি বড় প্রসেসর কোম্পানি রয়েছে—Intel এবং AMD। বাজেটের উপর ভিত্তি করে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোনটি আপনার জন্য ভালো হবে। যদি বাজেট ৩০ হাজার টাকার কম হয়, তাহলে AMD প্রসেসর সবচেয়ে ভালো পারফরমেন্স প্রদান করবে। আবার, যদি বাজেট ৩৫ হাজার টাকার বেশি হয়, তাহলে Intel প্রসেসর বেশি পারফরমেন্স এবং কম শক্তি অপচয়ের জন্য আরও ভালো বিকল্প হবে।

প্রসেসর নির্বাচনের সময় আপনাকে Core i3 এবং Core i5-এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। Core i3 সাধারণত অফিসিয়াল কাজ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, এমএস ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট এবং গান-ভিডিও দেখার জন্য উপযুক্ত, এতে সাধারণত ২টি কোর থাকে। অপরদিকে, যদি আপনি ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং বা হালকা গেমিংয়ের মতো ভারি কাজ করেন, তাহলে Core i5 নির্বাচন করুন, যা ৪টি কোর সমৃদ্ধ। আরও বেশি পারফরমেন্সের প্রয়োজন হলে, যেমন ভারি ভিডিও এডিটিং বা হাই-এন্ড গেমিংয়ের জন্য Core i7 অথবা Core i9 প্রসেসর নির্বাচন করতে হবে। যত বেশি কোর থাকবে, ল্যাপটপ তত দ্রুত এবং কার্যকরী হবে, তবে তত বেশি খরচও হবে।                  

এছাড়া প্রসেসরের জেনারেশন-এর উপরও নজর দিতে হবে। বর্তমানে বাজারে 7th, 8th, 9th, 10th, 11th এবং 12th জেনারেশনের প্রসেসর পাওয়া যাচ্ছে। 

সুতরাং, প্রসেসর নির্বাচন করার সময় আপনার বাজেট, প্রয়োজনীয় কাজের ধরন, কোর সংখ্যা এবং প্রসেসরের জেনারেশনের উপর মনোযোগ দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিলে আপনার ল্যাপটপ ব্যবহার আরও স্মার্ট ও কার্যকর হবে। Hp Victus 15-fb2082wm 15.6″ AMD R5 8645HS ও Acer Nitro V16 ANV16-41-R101 16″ AMD Ryzen 7 8845HS   এই দুইটি ল্যাপটপের প্রসেসর আপনার জন্য সেরা চয়েজ হতে পারে।

২. র‍্যাম

র‍্যাম

র‍্যাম হলো ল্যাপটপের পারফরমেন্সের একটি অপরিহার্য অংশ, যা ল্যাপটপের গতি এবং কার্যক্ষমতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি দ্রুত এবং স্মার্ট ল্যাপটপের জন্য প্রসেসরের সাথে মানানসই র‌্যাম থাকা জরুরি। যদি প্রসেসর ভালো হলেও র‌্যাম কম থাকে, তাহলে পারফরমেন্সে বাধা দেখা দেয়।

যদি আপনি Core i3 প্রসেসরের ল্যাপটপ কিনেন, তাহলে কমপক্ষে ৪ জিবি র‌্যাম নির্বাচন করুন। Core i5 প্রসেসরযুক্ত ল্যাপটপের জন্য প্রয়োজন ৮ জিবি র‌্যাম, আর Core i7 কিনলে অবশ্যই ১৬ জিবি র‌্যাম থাকা উচিত। আধুনিক পারফরমেন্সের জন্য 8th, 9th, 10th, 11th ও 12th জেনারেশনের ল্যাপটপের জন্য DDR4 র‌্যাম বেছে নিন, যেটি দ্রুত গতি, কম শক্তি অপচয় এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরমেন্স নিশ্চিত করে।

আপনার প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী সঠিক র‌্যাম নির্বাচন করুন আর উপভোগ করুন দ্রুত গতি, মসৃণ পারফরমেন্স আর নিখুঁত কাজের অভিজ্ঞতা। আজই সঠিক র‌্যামটি নির্বাচন করুন আর আপনার ল্যাপটপকে আরও স্মার্ট করুন! তবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি  Asus Vivobook 15 X1502Z 15.6″ Intel Core i7-12700H এ ক্ষেত্রে সেরা।

৩. উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম

বর্তমানে ল্যাপটপের জন্য Windows 10 এবং Windows 11 হচ্ছে সবচেয়ে লেটেস্ট অপারেটিং সিস্টেম। এই দুটি ভার্সন আধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন ফিচারের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়। Windows 10 একটি স্টেবল অপারেটিং সিস্টেম যা অধিকাংশ ল্যাপটপের জন্য সুবিধাজনক। আবার Windows 11 নতুন ডিজাইন, গেমিং ফিচার এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য আরও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। 

Windows 11 নিরাপত্তার দিক থেকেও অনেক উন্নত এবং এর ইন্টারফেস অনেকটাই আধুনিক ও ইউজার-ফ্রেন্ডলি। ল্যাপটপ কেনার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে—আপনার নতুন ল্যাপটপে লেটেস্ট Windows ভার্সন ইনস্টলড আছে কিনা। এছাড়াও, ল্যাপটপের গতি এবং কর্মক্ষমতার জন্য RAM এবং প্রসেসরের ক্ষমতা পরীক্ষা করা জরুরি।

একটি ভালো ল্যাপটপ কেনার সময় এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে নির্বাচন করলে দীর্ঘমেয়াদি পারফরম্যান্সে সুবিধা পেতে পারবেন। তাই Windows 10 অথবা Windows 11-সহ একটি আধুনিক ল্যাপটপ নির্বাচন করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

৪. স্ক্রিন/ডিসপ্লে কোয়ালিটি

স্ক্রিন/ডিসপ্লে কোয়ালিটি

ল্যাপটপে ফুল এইচডি ডিসপ্লে যুক্ত ল্যাপটপই আপনার নেয়া উচিত। কেননা, 1920 x 1080 পিক্সেলের এই ডিসপ্লে আপনাকে হাই রেজুলেশনের ভিডিও, গেম এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজে স্লিপহীন, স্বচ্ছ এবং ঝকঝকে ভিউ প্রদান করবে।

তবে শুধুমাত্র ফুল এইচডি ডিসপ্লে-ই যথেষ্ট নয়। একটি সেরা ও স্মার্ট ল্যাপটপের জন্য আপনি যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে তা হলো—ল্যাপটপে গ্রাফিক্স কার্ড।এটি ছাড়া ফুল এইচডি ডিসপ্লে সম্পূর্ণ সুবিধা দিতে পারে না।

ফুল এইচডি ডিসপ্লে সাপোর্টের জন্য ল্যাপটপে কমপক্ষে 2GB গ্রাফিক্স কার্ড থাকতে হবে। আবার, যদি আপনি গেমিং বা গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ে আরও উন্নত অভিজ্ঞতা পেতে চান, তাহলে 4GB বা তার বেশি গ্রাফিক্স কার্ড সমৃদ্ধ ল্যাপটপ কিনুন। এটি আপনাকে গেম খেলতে, ভিডিও প্লে করতে এবং ডিজাইনিংয়ের সময় আরও উন্নত এবং ঝরঝরে গ্রাফিক্স সাপোর্ট দেবে।

৫. হার্ড ডিস্ক

হার্ড ডিস্ক 

হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ বা রম হলো কম্পিউটারের স্টোরেজ যেখানে আপনার সকল ফাইল এবং সিস্টেম সফটওয়্যার সংরক্ষণ থাকে। ল্যাপটপের গতি নির্ভর করে হার্ড ডিস্ক, প্রসেসর এবং র‌্যামের সমন্বয়ের উপর। শুধু বড় সাইজের হার্ড ডিস্ক কিনলেই হবে না, ভালো মানের হার্ড ডিস্কও প্রয়োজন।

বর্তমানে বাজারে দুটি ধরণের হার্ড ডিস্ক রয়েছে—Hard Disk Drive (HDD) এবং Solid State Drive (SSD)। HDD এর গতি প্রায় ১০০ MB/s এর মতো হলেও, SSD এর গতি ৬০০ MB/s পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া NVME M.2 SSD রয়েছে, যা প্রায় ৪GB/s গতি প্রদান করে। SSD যুক্ত ল্যাপটপে Windows ইনস্টল করলে ল্যাপটপ দ্রুত এবং স্মার্ট পারফরমেন্স পাবে।

যদি আপনার বাজেট মধ্যম পর্যায়ের হয়, তবে ১TB HDD এর পাশাপাশি ১২৮GB বা ২৫৬GB SSD যুক্ত ল্যাপটপ কিনুন। এটি আপনার ল্যাপটপের গতি বাড়াবে এবং দ্রুত কাজের অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। Acer Nitro V16 ANV16-41-R101 16″ AMD Ryzen 7 8845HS তে এই সুবিধা আপনি পাবেন।

৬. মাদারবোর্ড

মাদারবোর্ড

মাদারবোর্ড হলো একটি প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড, যা কম্পিউটারের মূল ফাউন্ডেশন হিসেবে কাজ করে। এটি কম্পিউটারের অন্যান্য ডিভাইসকে পাওয়ার সাপ্লাই প্রদান করে এবং সিপিইউ, র‌্যাম, হার্ড ডিস্কসহ অন্যান্য হার্ডওয়্যারের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে। মাদারবোর্ডের আরও অনেক নাম রয়েছে, যেমন এমবি, মোবো, বেসবোর্ড, মেইনবোর্ড ইত্যাদি।

যদিও ল্যাপটপে মাদারবোর্ড নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই, তবে ল্যাপটপ কেনার সময় নিশ্চিত হয়ে নিন যে, আপনার ল্যাপটপের মাদারবোর্ড সব ধরনের আপডেট ডিভাইসের চিপ সাপোর্ট করে কি না। বিশেষ করে DDR4 RAM, M.2 SSD এবং NVME M.2 SSD সাপোর্টেড কিনা তা খতিয়ে দেখুন। এটি নিশ্চিত না হলে ভবিষ্যতে ল্যাপটপ আপগ্রেড করতে গিয়ে সমস্যা হতে পারে।

৭. ব্যাটারি ক্যাপাসিটি

ব্যাটারি ক্যাপাসিটি

ব্যাটারির মাধ্যমে ল্যাপটপ বিদ্যুৎ ছাড়া যেকোন জায়গায় ব্যবহার করা সম্ভব। এই সুবিধার জন্যই ল্যাপটপের চাহিদা এত বেশি। ল্যাপটপ কেনার সময় ব্যাটারির ক্ষমতা দেখে নেওয়া্টা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটারির গায়ে সাধারণত 44Wh বা 50Wh রেটিং দেওয়া থাকে, যা বেশি সময় ধরে চার্জ সংরক্ষণ করতে সক্ষম।

ল্যাপটপের অফিসিয়াল ডকুমেন্টে ব্যাটারির ব্যাকআপ টাইম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকে। সাধারণত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ব্যাকআপ পাওয়া যায় এমন ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করুন। এটি আপনাকে আরও দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার সুবিধা দেবে।

৮. ল্যাপটপ সাইজ এবং ওয়েইট

ল্যাপটপ সাইজ এবং ওয়েইট

ল্যাপটপ কেনার সময় সাইজ এবং ওয়েইটের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে, কারণ আপনি কোন ধরনের কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনছেন তা এর উপর নির্ভর করে। যদি আপনি ঘরে বসে কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনেন, তাহলে বড় সাইজের ১৫ ইঞ্চি ল্যাপটপ উপযোগী হতে পারে। তবে বাহিরে কাজে, মিটিং বা ট্রাভেলিংয়ের জন্য ল্যাপটপ কিনতে হলে ছোট সাইজের ও হালকা পাতলা স্লিম ল্যাপটপ নির্বাচন করুন।

১৪ ইঞ্চি ল্যাপটপের সাইজ বাহিরে কাজের জন্য আদর্শ, কারণ এটি সহজে বহনযোগ্য এবং ব্যবহারেও আরামদায়ক। এছাড়াও যদি বাজেট একটু বেশি থাকে, তাহলে নোটবুক কেনা আরও সুবিধাজনক হবে। এটি আপনাকে বহির্মুখী কাজের জন্য আরও স্মার্ট ও সহজ সমাধান দিবে।

অন্যান্য হার্ডওয়্যার: ছোট ডিটেইল, বড় সুবিধা

ব্লগের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। ছোট ছোট কিছু ফিচার ও আপনার এক্সপেরিয়েন্স বদলে দেবে।যেমন ল্যাপটপে এসডি কার্ড ব্যবহারের জন্য এসডি কার্ড স্লট থাকা জরুরি। এটি থাকলে মোবাইল বা ক্যামেরার এসডি কার্ড থেকে ফাইল ট্রান্সফার করার জন্য আলাদা কার্ড রিডারের প্রয়োজন হবে না।

ইউএসবি পোর্ট-এর বিষয়েও খেয়াল রাখবেন। ইউএসবি ৩ পোর্টের মাধ্যমে ইউএসবি ২-এর তুলনায় দ্রুত গতিতে ডাটা ট্রান্সফার করা সম্ভব। সুতরাং ল্যাপটপ কেনার সময় নিশ্চিত হয়ে নিন যে, তার পোর্টগুলো ইউএসবি ৩ সাপোর্টেড কিনা।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ল্যাপটপের কিবোর্ডে ব্যাকলাইট থাকা। ব্যাকলাইটযুক্ত কিবোর্ড অন্ধকারে ব্যবহার করা সহজ করে এবং বোতামগুলো পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। এই ফিচারটি আপনার কাজের সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে একটি ভালো ল্যাপটপ কেনার সমস্ত তথ্য এবং বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে আপনার আর কোনো তথ্যের অভাব থাকবে না। এখন থেকে আর কাউকে পরামর্শের জন্য অপেক্ষা না করে, আপনি নিজেই সহজেই একটি মানসম্পন্ন ল্যাপটপ নির্বাচন করতে পারবেন।

আপনার যদি ল্যাপটপ কেনার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে, আমাদের কমেন্টে জানাতে ভুলবেন সাথে জানাবেন কোন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ আপনার পছন্দের এবং কেন? সেটি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আর বর্তমানে আপনি কোন ব্র্যান্ডের এবং কোন স্পেসিফিকেশনের ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন, তা জানাতেও আমাদের মন্তব্যে জানান।

Similar Posts